লাখোকণ্ঠ প্রতিবেদক, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর আলোচিত জোড়া খুনের মামলায় দেওয়ান ফয়সাল নাটোর থেকে আটক করেছে র্যাব-১১। রামগঞ্জের দেওয়ান পরিবার দ্বী সে জড়িত নই। লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি বেলাল হোসেনের দাবী ঘটনার সময় ফয়সাল দেওয়ান সন্ধ্যা ৭.০০ টা থেকে রাত ১০.৩০ পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর একটি গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে সে সহ আরো অনেকের সাথে ছিল।নোমান হোসেনের ভাই ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজ হোসেনের করা মামলায় ফয়সালকে ৩ নাম্বার আসামি করা হয়। ফয়সাল মূলত আলোচনার আসে ১০ সেকেন্ডের একটি সংগৃহীত সিসি ফুটেজ নিয়ে। কিন্তু এ ফুটেজের আসল সত্যতা পাওয়া যায়নি এখনও।
দেওয়ান ফয়সালের বড় ভাই রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবী করেন রাজনৈতিক কারনে কাসেম জেহাদির সাহেব ফয়সলের আসা যাওয়া ও জানা সোনা থাকতে পারে কিন্তু এ ঘটনায় সম্পর্কে ফয়সাল জড়িত নই,তার দাবী ফয়সাল গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে ছিল।
ফয়সালের মেজ ভাই ছাত্রর লীগের সাবেক নেতা দেওয়ান তপন লাখোকণ্ঠ প্রতিবেদক বলেন খুনের দিন ও পরদিন রাতের বেলায় সে রামগঞ্জের নিজ বাড়িতে ছিল। তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর তার ভাইয়েরা জোড় করে তাকে বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে যেতে বলে। তার দাবী “ফয়সালের বিরুদ্ধে কোনো থানায় একটি জিডি পর্যন্ত নেই। সে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত হলেতো ২ দিন বাড়িতে থাকার কথা নয়”।তবে তারা এই নৃশংস হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চায়।
র্যাব-১১ ফয়সাল দেওয়ানকে নাটোর থেকে গ্রেপ্তার করে,চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন। এ জোড়া খুনের মামলায় এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে মূল আসামি গ্রেপ্তার না হয় ও দলীয় ভাবে বহিস্কার না হওয়া এলাকায় খোভ বিরাজ করছে।