নিম্নবিত্তরা পাচ্ছেন সরকারি ত্রাণ সহযোগিতা, কাজে যোগদানের অনুমতি এবং উচ্চবিত্তরা পাচ্ছেন সরকারি প্রণোদনা, শিল্প কারখানা চালু করার অনুমতি কিন্তু মধ্যবিত্তদের জন্য রয়েছে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য সরকার ঘোষিত লকডাউনে এখন পর্যন্ত হোম কোয়ারান্টাইন মেনে চলছেন মধ্যবিত্তরা। নিম্নবিত্ত গার্মেন্টস শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছেন, রিক্সার ড্রাইভার রাস্তায় নেমেছেন, ক্ষেতমজুর ক্ষেতে কাজ করছেন এবং উচ্চবিত্তরা তাদের শিল্প কারখানা চালু করেছেন, শপিং মল খুলেছেন, বিদেশের সাথে ব্যবসা সম্প্রসারণ করছেন, সরকারি প্রণোদনার টাকা নিয়ে শ্রমিকদের বেতন ভাতাদি পরিশোধ করছেন। জনপ্রতিনিধি, সরকার, নেতা সকলেই রাজনীতির মাঠের সুবিধা নেওয়ার জন্য সবসময় নিম্নবিত্ত এবং উচ্চবিত্তদের সাথে থাকেন কারন নিম্নবিত্তদের খুব সহজে সহযোগিতার নাম করে মন জয় করা যায় এবং ভোট কনফার্ম করা যায়। অন্যদিকে উচ্চবিত্তদের সাথে সবাই ভালো সম্পর্ক রাখেন কারন তাঁরা দেশের অর্থনীতি এবং রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। নিম্নবিত্তের ভোট নিয়ে উচ্চবিত্তরা সরকার এবং বিরোধীদলে থাকেন। উচ্চবিত্তের শিল্প কারখানা এবং রাজনীতি চালু রাখার জন্য দরকার নিম্নবিত্তের অন্যদিকে নিম্নবিত্তের বেঁচে থাকার জন্য দরকার কাজ, আর কাজের জন্য দরকার উচ্চবিত্তের। তাঁরা পরস্পর একে অপরের সম্পূরক। একজনকে ছাড়া অন্যজন অচল। অন্যদিকে মধ্যবিত্তরা সমাজের নিরীহ মানুষ। তাদের না আছে ভোট ব্যাংক না আছে পর্যাপ্ত অর্থ। তাঁরা সমাজে মোটামুটি সম্মান নিয়ে মোটামুটিভাবে বেঁচে থাকে। তাঁরা না খেয়ে থাকলেও কারো কাছেই কখনো হাত পাতেন না। তাদের অর্থ না থাকলেও আত্মসম্মানবোধ বেশি থাকে। তাইতো তাদের সার্থিক সংকট কেউ বুঝতে পারেন না। তাঁরা কারো কাছে গিয়ে হাত পাতেন না দেখে কেউ সহযোগিতাও করেন না। করনোকালে সরকার নিম্নবিত্তদের নানাবিধ সহযোগিতা করছেন, খাদ্য সরবরাহ, আর্থিক সহযোগিতা। কিন্তু মধ্যবিত্তের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। করোনাকালে সবচেয়ে বাজে অবস্থায় আছেন মধ্যবিত্তরা। হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার কারণে বেড়েছে খাদ্য খরচ কিন্তু বাজারে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেশি। হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার জন্য বিদ্যুৎ বিল আসছে বেশি। বাসায় সারাদিন থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে ফলে খরচ বেড়েছে মোবাইলের। পারিবারিক জরুরী প্রয়োজনে বাসার বাইরে গেলে যানবাহনের ভাড়া গুনতে হচ্ছে কয়েকগুন। অসহায় গরীব মানুষ সামনে হাত পাতলে পকেটের শেষ পয়সাটাও দিয়ে দিতে হয় মনের জোরে। অথচ এসব কিছু করতে হচ্ছে মধ্যবিত্তকে লকডাউনে ঘরে বসে কোনরকম আয় রোজগার ছাড়া। দুই মাসের লকডাউনে মধ্যবিত্তরা জমানো টাকা শেষ করে ধারদেনা করে চলছেন। সামনে তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। সরকার এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে আহবান নিম্নবিত্ত এবং উচ্চবিত্তদের সাথে মধ্যবিত্তদের পাশে দাড়ান। তা নাহলে অচিরেই মধ্যবিত্তরা বিলুপ্ত হয় নিম্নবিত্তে রুপান্তরিত হবেন।
লেখক :
মোঃ হেদায়েত উল্লাহ তুর্কী
সহকারী রেজিস্ট্রার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
লাখোকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক:
করোনা মহামারির কারণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি আগামী ৩.....
লাখোকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ আমাদের বার বার ভোট দিয়েছে। আমারদের ও.....
লাখোকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আছে বলেই দেশে উন্নয়নের ধ.....
লাখোকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক:
দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে জঙ্গি মতাদর্শ ছড়ানো এক দম্পতিসহ নয় তরুণ-তরু.....
লাখোকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক:
আকতারুজ্জামান
বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ শুরু করেছে .....
লাখোকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক:
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, যেখানে কম দামে করোনার ভ্যাকসিন পাব, সেখান থ.....
লাখোকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক:
সরকারের অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এস এম আলী কবীরকে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান নি.....
লাখোকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক:
৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এবং ৪২তম বিসিএসের (বিশেষ) এমসিকিউ পরীক্ষার তা.....
লাখোকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক:
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিনের চুক্.....
লাখোকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আনার চেয়ে মানবদেহ.....
লাখোকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, এ সরকারের আমলে সত্য থ.....
লাখোকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক:
করোনা টিকাগ্রহীতাদের জন্য ডাটাবেজ তৈরিতে যে অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে তার জন্য কোনও টা.....