Ad: ০১৭১১৯৫২৫২২
২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আইন শৃংখলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি অর্থনীতি
  6. খেলাধূলা
  7. চাকরি-বাকরি
  8. জাতীয়
  9. জীবনের গল্প
  10. ধর্ম
  11. নির্বাচনী হাওয়া
  12. ফিচার
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. রাজধানী
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুষ্টিয়ার পাট চাষিরা লোকসানে, মূল্যবৃদ্ধির দাবি

বার্তা কক্ষ
আগস্ট ২৮, ২০২৩ ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সামরুজ্জামান (সামুন), কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমে পাটের চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকরা। বাজারে পাটের যে দর, তাতে লোকসান হচ্ছে তাদের। পাটের কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা। পাট বিক্রি করে খরচ ওঠানো যাচ্ছে না, লোকসান গুনতে হচ্ছে পাট চাষিদের। তারা পাটের দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।

কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুষ্টিয়ায় পাট চাষে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে। মজুরির ব্যয়, সার, কীটনাশক, বীজসহ চাষাবাদের খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে প্রতি বিঘা পাটের উৎপাদন খরচ প্রায় ১৫ হাজার টাকা। পাট উৎপাদন হচ্ছে ৫-৬ মণ। এক মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকায়। এতে প্রতি বিঘা পাট চাষে লোকসান হচ্ছে ৫ থেকে ৬ হাজার লোকসান। বাজারে পাটের দাম পড়তির দিকে। গতবছর এসময় পাট ২ হাজার ৫০০টাকা মণ ছিলো। এক বছরের ব্যবধানে পাটের দাম প্রতি মণে প্রায় এক হাজার টাকা কমেছে। এতে লোকসানে পড়েছেন চাষিরা।

জেলা কৃষি অফিস ও জেলা মুখ্য পাট পরিদর্শকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়া জেলায় প্রায় ৩৭ হাজার ৭৪২ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। গত বছরে ৪১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছিলো। জেলায় এ বছর পাট চাষ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার ৩৬ একর জমিতে কম চাষ হয়েছে। প্রতি বিঘায় ফলন হয়েছে ৫ থেকে ৬ মণ পর্যন্ত। পাটের দাম গত বছরের চেয়ে অনেক কম। বর্তমান বাজারে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা মণ দামে পাট বিক্রি হচ্ছে।

কৃষক তারু হোসেন বলেন, আমার এক বিঘা জমিতে পাটের বীজ, সার, কীটনাশক, মজুরির ব্যয়, লিজ খরচ, পুকুর ভাড়া দিয়ে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। পাট উৎপাদন হয়েছে ৬ মণ। ১৫০০ টাকা দরে ৮ মণ পাট বিক্রি করে ৯ হাজার টাকা হয়েছে। আমার ৬ হাজার টাকা লোকসান। গত বছরের তুলনায় পাটের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। আমার মতো সকল পাট চাষির লোকসান হচ্ছে। পাটের দাম বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি। যে ফসলে লোকসান, সেই ফসল উৎপাদন বন্ধ করে দিবে কৃষক।

দৌলতপুর উপজেলার কয়েকজন পাট চাষি বলেন, পাট চাষ করে আমাদের পোষাচ্ছে না। পাটের দাম গত মৌসুমের দামের অর্ধেক। সকল পাট চাষির লোকসান হচ্ছে। বাজারে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা মণ পাট বিক্রি হচ্ছে। এবার পাটের চাহিদাও কম। ব্যবসায়ীরা পাটের প্রতি তেমন আগ্রহী না। পাট চাষিদের প্রতি সরকার নজর দিক, দাম বৃদ্ধি করে দিক। লোকসানের ঝুঁকি নিয়ে আগামীতে অনেকেই পাট চাষ করা বন্ধ করে দিবে।

পাট ব্যবসায়ী রাজ্জাক হোসেন বলেন, গত বছরে কেনা পাট আজও গোডাউনে ভরা। অনেক ব্যবসায়ী গত বছরের পাট বিক্রি করতে পারেনি। এজন্য এবছর ঝুঁকি নিচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। পাট চাষি ও ব্যবসায়ীরা উভয়েই বিপাকে পড়েছে। কৃষকদের লোকসান হচ্ছে, খরচের টাকাও তুলতে পারছে না তারা। গতবছর এসময় ২৫০০ টাকা মণ ছিলো, এবছর প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে৷

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হায়াত মাহমুদ বলেন, চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়া জেলায় প্রায় ৩৭ হাজার ৭৪২ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। গত বছরে ৪১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছিলো। এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চাষ কম হয়েছে। পাট চাষের বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নতুন জাতের বীজ, সার, প্রণোদনা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমরা কৃষকদের পাশে থেকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি।

জেলা মুখ্য পাট পরিদর্শক সোহরাব উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, গত মৌসুমে এসময়ে প্রতিমণ পাটের দাম ছিলো ২৫০০-২৬০০ টাকা। গত বছরের সেই পাট ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে পারেন নি। ব্যবসায়ীরা লোকসানের ঝুঁকিতে রয়েছে। এজন্য পাট ক্রয়ে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ কম। তাছাড়া বিভিন্ন কারণে এবছরে পাটের গুনগত মানও তুলনামূলক কম। এবার পাটচাষিদের লোকসান হচ্ছে, দাম অনেক কম। বর্তমানে প্রতি মণ পাট ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা বিক্রি করছে কৃষক। প্রতি বিঘায় পাট উৎপাদন হচ্ছে ৫-৬ মণ, যেখানে উৎপাদন হওয়ার কথা ১০-১২ মণ। সবমিলিয়ে পাট চাষিরা লোকসানের মধ্যে রয়েছেন।



এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।