Ad: ০১৭১১৯৫২৫২২
৩রা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আইন শৃংখলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি অর্থনীতি
  6. খেলাধূলা
  7. চাকরি-বাকরি
  8. জাতীয়
  9. জীবনের গল্প
  10. ধর্ম
  11. নির্বাচনী হাওয়া
  12. ফিচার
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. রাজধানী
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুষ্টিয়ায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলনেও হাসি নেই চাষিদের মুখে

বার্তা কক্ষ
এপ্রিল ১, ২০২৩ ১১:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সামরুজ্জামান (সামুন), কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া জেলায় পেঁয়াজ চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকার পরেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমি। সেখানে আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ১৩১ হেক্টর। তবে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে এ জেলায় ১২ হাজার ৯১০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও সে সময় অর্জিত হয়েছিল ১৩ হাজার ৭৩৪ হেক্টর জমিতে। এ জেলার চাষিরা মাঠ থেকে পেঁয়াজ তোলা এবং পেঁয়াজ পরিস্কার করে ঘরে তোলার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে। কাক ডাকা ভোর থেকে উঠে দিনব্যাপী পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তোলা, বাড়িতে নিয়ে এসে পরিস্কার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক কৃষানিরা।

গত বছরের চেয়ে কম দামে পেঁয়াজের বীজ ক্রয়, চারার মূল্য কম, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চাষিরা এবার ব্যাপক হারে পেঁয়াজ রোপন করছে বলে কৃষকেরা জানান। তবে চলতি মৌসুমে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, তেলের মূল্য বেশি হওয়ায় সেচের মূল্য বৃদ্ধি এবং পেঁয়াজের মাটি প্রস্তুতে খরচ বেশি হওয়ায় চাষিরা হতাশার মধ্যে আছে। পেঁয়াজ চাষিরা জানান, যে পরিমান খরচ হচ্ছে তাতে করে পেঁয়াজের মূল্য বাজারে কম হাওয়ায় তারা লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্মখীন হচ্ছে বেশি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছে চাষিরা। তাই তাদের দাবি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী বন্ধ করার। তা না হলে লোকসান আরো বেড়ে যাবে।

কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় তাহেরপুরী, বারী পেঁয়াজ-১, কিংসুপার ও মেটাল এই চার জাতের পেঁয়াজ কৃষকেরা রোপন করছে। চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমি, সেখানে অর্জিত হয়েছে ১২ হাজার ১৩১ হেক্টর জমি। এ বছর কৃষকের প্রতি বছরের ন্যায় পেঁয়াজ রোপন না করায় এবং ভারতীয় বীজ চাষিদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ করায় চাষিরা গত বারের মত পেঁয়াজ রোপন করেনি। কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ১ হাজার ৮২০  হেক্টর, খোকসা উপজেলায় ২ হাজার ৫৭৬ হেক্টর, কুমারখালী উপজেলায় ৪ হাজার ৩৬৯ হেক্টর, মিরপুর উপজেলায় ৩১২ হেক্টর, ভেড়ামারা উপজেলায় ২৩৫ হেক্টর ও দৌলতপুর উপজেলায় ২ হাজার ৮১৯ হেক্টর। তবে কৃষকরা জানায় কৃষি অফিসের দেয়া তথ্যের চেয়ে মাঠ পয্যায় কৃষকের পেঁয়াজ বেশি রোপন হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা দলবদ্ধভাবে শ্রমিক নিয়ে পেঁয়াজ তোলা কাজ করছেন। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পেঁয়াজের বীজ গেল বছর খোলা বাজারে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও এ বছর তা কমে বিক্রি হয়েছে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায়।

পেঁয়াজের চারা গত বছর ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় কেজি বিক্রি হলেও এবার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। বীজ, চারা, সার, পরিচর্যাসহ এবার বিঘাপ্রতি পেঁয়াজ উৎপাদনে চাষিদের খরচ হবে ২৮ থেকে ৩২ হাজার টাকা। এ বছর বিদেশি কিংসুপার জাতীয় চারা রোপণ করা হয়েছে। এতে বিঘায় ৪৫ থেকে ৬০ মণ পেঁয়াজ উৎপন্ন হবে। যার বাজার মূল্য হবে ৪০ থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া শহরতলী বাড়াদী গ্রামের চাষি নরেশর আলী বলেন, ৩ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ রোপণ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে খরচের চেয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করে তেমন লাভ হচ্ছেনা। তিনি বলেন, এবার চাষিরা ভারতীয় বীজ রোপন করায় পেঁয়াজ চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের চাষি মিজানুর বলেন, পেঁয়াজ চাষে খরচ কমেছে। এবার বিঘাপ্রতি খরচ হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছিলাম। নিয়মিত পরিচর্যা করেছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে। তবে ভারতীয় বীজ ক্রয়করে ধরা খেয়েছি। পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে।

কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলেন, পেঁয়াজ চাষিদের অর্থকারী ফসলের মধ্যে অন্যতম। এ অঞ্চলের মাটি পেঁয়াজ চাষে উপযোগী। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা সব সময় কৃষকদের পেঁয়াজ চাষে পরামর্শ দিয়ে আসছে।



এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।