লাখোকন্ঠ লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম খুনের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম জিহাদিসহ ৩৩ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১টায় নিহত নোমানের বড় ভাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
নিহত নোমান সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি (নোমান) প্রস্তাবিত জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। অপর নিহত রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা- একই ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রফিক উল্যার ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। নিহত নোমানের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান রয়েছে অপর নিহত রাকিবের স্ত্রী ও ৭ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে বলে জানা যায়।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টায় সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট এলাকায় সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে খুন করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাদের পৃথক হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মাথায় ও মুখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে জানান সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ারে হোসেন। এ ছাড়াও মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বুধবার বাদ আছর জানাজার নামাজ শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-লক্ষ্মীপুরে গুলি করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা
এদিকে এ ঘটনার ২৭ ঘণ্টা পর চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জিহাদিকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, বাদীর করা এজাহার হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৪ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।