লাখোকন্ঠ নিজস্ব প্রতিবেদক:কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ গত বছর মার্চ মাসে মূল ভবন হস্তান্ত করা হয়। হস্তান্তর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ দেলদার হোসেনের শুড়ি মসিতে আসেনি শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যান্টিনের কোন টেন্ডার। পরবর্তীতে জনবল প্রকল্পের নিয়োগ প্রাপ্ত মশিউর রহমান এর পরিকল্পনায় ও অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ দেলদার হোসেন এর সম্মতিতে গত (১৫ মার্চ-২৩) তারিখে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অবৈধভাবে টেন্ডারবিহীন ক্যান্টিন চালু করা হয় ।
এর আগে থেকেই রিফাত মিলন ছাত্রবাস ও রহিমা আফসার ছাত্রীনিবাস এর (৩০ মার্চ-২২) তারিখ থেকে শুরু হয় নতুন ক্যাম্পাসে যাত্রা। শুরুতে দুপুর আর রাতের খাবার রান্না হতো। সকালের নাস্তা না থাকায় ছেলে মেয়েদের অনেক অসুবিধা হয়। এরপর কিছু শিক্ষকদের অনুরোধে রহিমা আফসার ছাত্রী হোষ্টেল এ সকালের নাস্তা শুরু করেন ওই হোষ্টেলের বাবুর্চি। এতে মেয়েরা অনেক খুশি হয়।
মশিউর রহমান, মাজহারুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, রাজস্ব খাতের কর্মচারী হিসাব রক্ষক ও ইউনুস আলী গার্ড। এদের দাঁড়ায় পরিচালিত হচ্ছে ক্যান্টিন। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও এইসব কর্মচারীদের পকেট ভোরতে তারা নিজেরাই নিজ উদ্দোগে হোষ্টেলের বাবুর্চিকে বাদ দিয়ে ক্যান্টিনে নতুন বাবুর্চি নিয়ে এই ব্যাবসা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত মাজহারুল ইসলাম ও মশিউর রহমান সাথে দেখা করলে তারা বলেন, আসলে বিষয়টি আমরা প্রিন্সিপাল সারের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি , কারন সকাল ৭ টার সময় শিক্ষার্থীরা নাস্তা করতে অনেক দুরে যেত। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তবে ক্যান্টিন টেন্ডারের মাধ্যমে দেওয়া হবে আরো কিছুদিন পরে।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ দেলদার হোসেনকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এরপর বেশ কয়েকবার তার দফতরে গেলেও সাক্ষাতের অনুমতি মেলেনি।