কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজু বলেন,গাছের পাতাগুলো যেন একচুলও নড়ে না। তীব্র তাপে উষ্ণ হয়ে উঠেছে বায়ুমণ্ডল। প্রকৃতি যেন তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়ছে। ঘরে কিংবা বাইরে কোথাও এক চিলতে স্বস্তি নেই। ছেঁউড়িয়া দবির মোল্লার রেলগেট জামে মসজিদ ও কুষ্টিয়া লালন একাডেমির সাবেক নির্বাহী সদস্য আলতাফ হোসেন মোল্লাহ্ বলেন, সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন কম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তাছাড়া সাধারণ পথের যাত্রী ও মানুষদেরও নাভিশ্বাস উঠছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে। এদিকে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর ভিড়। বিশেষ করে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা।
এদিকে বুধবার ভোর থেকে কুষ্টিয়য় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অসহনীয় তাপদাহে গরম বাড়তে থাকে। সূর্যের প্রখর তাপে মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। তপ্ত রোদে খাঁ-খাঁ করছে সড়ক জনপদ। গায়ে জ্বালা ধরাচ্ছে। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কুষ্টিয়ায় উপকূলে পানি সংকট। প্রচণ্ড গরমে কুষ্টিয়া গড়াই নদীর তীরবর্তী এলাকাবাসী মরিয়া হয়ে উঠেছে একটু পানির আশায়। গরম থেকে একটু রেহাই পেতে শিশুরা মেতেছে পানির সঙ্গে দুরন্তপনায়। আর প্রচণ্ড তাপে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শরীরে আর কাজ করার মত শক্তি পাচ্ছে না বেশিরভাগ দিনমজুর।
রিক্সা চালক বিষে বলেন, জীবনের তাগিদেই কাজের জন্য ঘরের বাইরে বের হই, চারেদিকে প্রচন্ড গরম। নিঃশ্বাস ফেলতেও কষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে গরম থাকলেও শরীর থেকে এক ফুটাও ঘাঁম বের হচ্ছে না।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, আজ কুষ্টিয়া জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অন্য অঞ্চলগুলোতে দিনের তাপমাত্রা কম-বেশি হলেও কুষ্টিয়া অঞ্চলে এখনো দেখা নেই বৃষ্টির। আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এ অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। গরমের তেজ তীব্র থাকবে আরও কিছুদিন।