বান্দরবানের লামায় ফাসিয়াখালীতে শতাধিক স্থানে অবাধে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন। লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া সকল নদী, নালা,খাল,বিলের টার্গেট বালু ব্যবসায়ীদের।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজনীতিতে জড়িত এক শ্রেণির অসাধু যুবক বালু উত্তোলন ও ব্যবসা চালাচ্ছে দেদারছে। অথচ এই বালু উত্তোলনের ফলে ভূমিহীন ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় শতাদিক পরিবার। বিভিন্নভাবে হুমকির মুখে রয়েছে আরো প্রায় হাজার পরিবার। বালু উত্তোলনকারীরা খুব প্রভাবশালী ব্যক্তি। আপনি দিনে না এসে রাতে এসে দেখবেন শত শত বালুর ট্রাক বের হচ্ছে। কেউ মুখ খুলে কথা বলতে পারেনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফাসিয়াখালী ইউনিয়নে ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের আলাউদ্দিন মাতামুহুরী নদীতে বয়ে যাওয়া বাঘাইছড়ি খাল থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে নদীর পাশে স্তুুপ করে দেদারছে বিক্রয় করছে। একইভাবে মালুম্যা গ্রামের আবুল হোসেন ও আব্দুল মালেক নামে দুইজন ব্যক্তি বাগাইছড়ি খাল ও অংশারঝিরি খালের ঘাট থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে। এদিকে নদী থেকে যত্রতত্র বালু উত্তোলনের ফলে একদিকে যেমন কৃষকের কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে, অন্যদিকে বালু বোঝাই ট্রাক চলাচল করায় গ্রামীণ রাস্তাঘাট ভেঙে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী আবু তাহের আলাউদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা প্রসাশন থেকে অনুমতি নেই নাই, শুধু আমরাই নয় এখানে বালু উত্তোলনকারী কারো কাছে অনুমতি নাই। ঘাটের মালিক দাবীকৃত রমজান আলী’র সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার জমির পাশে যেহেতু খাল তার জন্য আমাকে প্রতি গাড়ি বালু থেকে ৪০০ টাকা করে দিয়ে আবুল হোসেন ও আব্দুল মালেক বালু তোলে নিয়ে যায় । অন্যদিকে আবুল হোসেন ও আব্দুল মালেকের সাথে কথা বললে তারা স্বীকার করে জানান, আমরা মালিক থেকে কিনে নিয়ে বাহিরে বিক্রি করতেছি এখানে আমাদের কোন অপরাধ নেই। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন চৌধুরী জানান, প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে, বালু উত্তোলনকারীরা দিনে থেকে রাতে বেশি বালু পাচার করে। আমি দিনের বেলায় সরেজমিনে গেলে তারা সবাই পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফা জাবেদ কায়ছার জানান, অবৈধ বালু উত্তোলন বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন বিন্দু পরিমান ছাড় দিবে না। আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।