ইসমাইল হোসেন স্টাফ রিপোর্টার: বান্দরবানের লামায় বহিরাগত ও স্থানীরা মিলে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্নভাবে ঝিরি, খাল, পাহাড় দখল করে জোরপূর্বক নির্বিচারে পাথর উত্তোলন করছে। পাহাড় খুঁড়ে, বনাঞ্চল ধ্বংস করে, বিভিন্ন ছড়া- ঝিরি- খালসহ শতাধিক স্পটে চলছে বেআইনিভাবে পাথর উত্তোলন। অনুমোদন ছাড়াই বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট মেতে উঠেছে অবৈধ পাথর উত্তোলন ও পাচারের কাজে।
অভিযোগ রয়েছে উপজেলার ঝিরি-ঝর্ণাগুলো পানির উৎস দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। পাথর আহরনে রাস্তা তৈরি করতেও ব্যাপকহারে পাহাড় ও বৃক্ষ নিধন করে পরিবেশ ধ্বংস করছে। আবার বড় বড় টি.এস গাড়ি যোগে পাথর পাচারের কারণে এলাকার রাস্তা ঘাট ভেঙ্গে যাচ্ছে।
সরজমিনে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হরিণঝিরি, ওয়াক্রাউপাড়া, সাফমারা, চিনিরঝিরি, গয়াল মারা, পাইকঝিরি, কাপঝিরি, কেরানী ঝিরি, শিলের ঝিরিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পাথর উত্তোলন করে পচারের উদ্দেশ্যে স্তুপ তৈরি করেছে।
জানা যায় চকরিয়া উপজেলার মহিম উদ্দিন, মো: এনাম ও মো: হেলালসহ আরো বেশ কয়েকজন পাথর উত্তোলন ও পাচারে কাজে জড়িত।
স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানায়, দিনের বেলায় শত শত শ্রমিক লাগিয়ে পাহাড় ও ঝিরি খুঁড়ে পাথর উত্তোলন করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্তুপ করা হয়। পরবর্তীতে রাত দিন ট্রাক যোগে স্তুপকৃত পাথর বিভিন্ন সড়ক দিয়ে নিয়ে যায় পাথর দুস্যরা। পাথরের গাড়ি যাতায়াতের সময় বিকট শব্দের কারনে রাত ঘুমাতে পারছেনা এলাকাবাসী। এতে করে অত্র অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
অভিযুক্ত মহিম বলেন, আমি পাথর কি ভাবে উত্তোলন করি তা আপনাকে কেনো বলবো, আপনার কাজ নিউজ করা আপনি নিউজ করেন।
বিষয়টি নিয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, পাথরের বিষয়ে যে আইনটি আছে সেটা আসলে আমাদের সাথে সরাসরি রিলেটেড না। এখানে একটা জটিলতাও আছে, তারপরও দেখি অন্য কোনভাবে যেহেতু অন্যায় অনিয়ম হচ্ছে সেনাবাহিনীকে অথবা বিজিবিকে বলে কিছু করা যায় কিনা। এরা সরাসরি অভিযান পরিচালনা করতে পারে যেটা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।