মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: আদালতে মামলা থাকা সত্ত্বেও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার নোয়াদ্দা গ্রামে বিরোধপূর্ণ জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার নোয়াদ্দা গ্রামে কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিরোধপূর্ণ জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন ওই গ্রামের দ্বীন ইসলাম খান।
এতে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ভবন নির্মাণের জন্য ব্যাচ ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করে কলম খাড়া করা হয়েছে। বিশাল এলাকা নিয়ে ওই ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। এ সময় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই নির্মাণাধীন ভবনের ছবি তুলতে থাকলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন দ্বীন ইসলাম খানের ভাতিজা মামুন খান। মামুন খান তার চাচা দ্বীন ইসলাম খানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এরপর এখানে কেউ আসলে তাকে আটকে রেখে ৯৯৯ ফোন দিবেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর শেখ বলেন, এই সম্পত্তিটি আমরা ও দ্বীন ইসলাম খান গংরা মূল সিএস রেকর্ডিং মালিক হতে কিনেছি। কিন্তু দ্বীন ইসলাম গংরা আমাদের সম্পত্তিসহ সম্পূর্ণ সম্পত্তি তাদের নামে রেকর্ড করে নিয়ে গেছে। এনিয়ে আমরা বাদী হয়ে সহকারী জজ আদালত টঙ্গিবাড়ী , মুন্সীগঞ্জে একটি মামলা চলছে। যাহার নাম্বার ৬৬/২১। মামলা চলমান থাকা স্বত্বেও দ্বীন ইসলাম জোড় করে বিরোধপূর্ণ জমিতে ভবন নির্মাণ করছেন। এছাড়া এ সম্পত্তির কিছু অংশ সরকারী সম্পত্তি হয়ে গেছে। আমি সরকার হতে ওই সম্পত্তি লিজ এনেছি। সরকারি সম্পত্তিসহ দখল করে সে এ ভবন নির্মাণ করছে ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দ্বীণ ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ওই সম্পত্তি তার পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি দাবি করে বলেন, আমি আমার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে ভবন নির্মাণ করছি। এ সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে সে মামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আলী আকবর শেখ বাদী হয়ে এই সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা করেছে। মামলা থাকা অবস্থায় আপনি স্থাপনা নির্মাণ করতে পরেন কিনা জানতে চাইলে সে কোন জবাব দেয়নি।
এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রাশেদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে আপনার কাছ হতে অবগত হলাম। আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।