Ad: ০১৭১১৯৫২৫২২
১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আইন শৃংখলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি অর্থনীতি
  6. খেলাধূলা
  7. চাকরি-বাকরি
  8. জাতীয়
  9. জীবনের গল্প
  10. ধর্ম
  11. নির্বাচনী হাওয়া
  12. ফিচার
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. রাজধানী
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দেবীগঞ্জে ইকোনমিক (ইপিজেট) জোনের জমি বরাদ্দ, আতঙ্কে আশ্রয়ন প্রকল্পের মানুষ

বার্তা কক্ষ
মার্চ ২৭, ২০২৩ ৮:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ইসমাইল হোসেন স্টাফ রিপোর্টার: পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় চালু হওয়ার পরিকল্পনা ইকোনমিক(ইপিজেট) জোন। আর এই ইকোনমিক জোনের জমি বরাদ্দে বাড়িসহ তিন ফসলী কৃষি জমি হারানোর আতঙ্কে পড়েছে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের মানুষেরা। তাদের দাবী সরকারী ৪০ বছরের আবাসন গড়ে উঠা আর তিন ফসলী কৃষি জমিতে ইকোনমিক ইপিজেট জোন হলে আমারা অনাহরে অধ্যাহারে পরিবার নিয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই। তাই তাদের দাবী অন্য কোন জায়গা নিয়ে ইপিজেট করলে এই তিন ফসলী জমি টিকে থাকবে । আবাসন থেকে গৃহহীন হবে না আবাসনের ৬‘শ’ পরিবার। দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের দারারহাট আবাসন প্রকল্পের পাশে গড়ে উঠতে যাচ্ছে সরকারি ভাবে ইকোনমিক জোন। আর এই ইকোনমিক জোনকে কেন্দ্র করে জমি বরাদ্দ করার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। তবে এই জমি বরাদ্দকে কেন্দ্র করে আবাসন প্রকল্পের বসবাসরত ঘরসহ কৃষি জমি হারানোর আতঙ্কে পড়েছে আবাসনে বসবাসরত প্রায় ৬শত পরিবার।


আবাসনের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম,আবাসনবাসী আব্দুল মমিন,আনোয়ার হোসেন তারা জানায় এখানে এক সময় জায়গা গুলো কৃষি হতো না আমরা এখানে বসবাসে করার পরে এই জমিতে এখন তিন ফসলী কৃষি আবাদ হচ্ছে।
এদিকে ৯০ বছর আবাসনবাসী আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রী জানায় আমরা যখন এখানে বসবাস করি তখন এই জমিতে কোন আবাদ হত না এখন ভাল আবাদ হচ্ছে।এই জমি নিলে আমরা এই বয়সে কোথায় যাব কি করে চলবো খাবো।তাই সরকারের কাছে জোর দাবী এই কৃষি জমি যেন না নেয়।তাহলে এই বয়সে ভিক্ষে ছাড়া আর কোন উপায় আমাদের নেই।
আবাসনের সভাপতি ওমর আলী জানান,আশ্রয় ও কৃষি জমি হারানোর আতঙ্কে গত সাত বছর ধরে দিন অতিবাহীত করছে। এই তিন ফসলী কৃষি জমিতে ধান,আলু ভুট্টা, মরিচ,রসুন,পিয়াচ,শাকসবজিসহ জেলার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় কৃষি পণ্য সরবরাহ হচ্ছে।তাদের কাছ থেকে একমাত্র আশ্রয়টি ও কৃষি জমি যেন ছিনিয়ে নেয়া না হয় সরকারের কাছে জোর তাবী জানিয়েছে তারা।


দারারহাট আবাসনটি গত ২০০৬ সালে ২০ ব্যারাকে ২শ আশ্রয়হীন পরিবারের মাঝে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। এ থেকে শুরু হয় তাদের বসবাস। বর্তমানে প্রায় ৬শ পরিবারে লোকসংখ্যা দাড়িয়েছে। আর এই ৬শ পরিবার আবাসনের আশপাশে থাকা ১ হাজার একর জমিতে কৃষি করে বাজারের ঘার্তি পূরণ করছেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-মো: গোলাম ফেরদৌস জানান,দারারহাট আবাসন প্রকল্পের ২১৭ একর জমির মধ্যে নদীতে বিলিন ৩০ একর। অন্যদিকে এর মাঝে আবাসনের ও কৃষি জমির ক্ষতি না করে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের প্রয়োজনে উন্নয়ন পরিকল্পনা; আর তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বৃহৎ কোন গোষ্ঠীর অসুবিধা বা আবাসন আশ্রয়হীন সমাজে তিন ফসলী জমিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানায়।



এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।