Ad: ০১৭১১৯৫২৫২২
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আইন শৃংখলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি অর্থনীতি
  6. খেলাধূলা
  7. চাকরি-বাকরি
  8. জাতীয়
  9. জীবনের গল্প
  10. ধর্ম
  11. নির্বাচনী হাওয়া
  12. ফিচার
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. রাজধানী
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নতুন রাষ্ট্রপতির শপথে পাবনায় দোয়া ও আনন্দ মিছিল

বার্তা কক্ষ
এপ্রিল ২৪, ২০২৩ ৯:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ ফজলুল হক,পাবনা: মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করায় তার নিজ জেলা পাবনায় দোয়া মাহফিল, মিষ্টি বিতরন ও আনন্দ মিছিল হয়েছে।  (২৪ এপ্রিল)  সোমবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বড় পর্দায় রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান দেখানো হয়। টিভির পর্দায় শপথ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরপরই জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে রাষ্ট্রপতির দীর্ঘায়ু ও সফলতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া শেষে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ চলে। পরে একটি আনন্দ মিছিল বের করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। আনন্দ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ প্রমুখ।

নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে পাবনাবাসীর প্রত্যাশা তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে ভূমিকা রাখবেন। পাশাপাশি তার নিজ জেলা পাবনার আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবেন।

নাট্য ব্যক্তিত্ব আব্দুল হান্নান শেলী বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতি পাবনার কৃতি সন্তান হলেও এখন তিনি সারাদেশের। তারপরও তার কাছে পাবনাবাসীর অনেক প্রত্যাশা। আমরা চাই পাবনার নতুন রেললাইনকে ঢাকার সঙ্গে যুক্ত করে দু’টি ট্রেন চালু করবেন তিনি। একই সঙ্গে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, তিনি যেখানে পড়াশোনা করেছেন সেই সরকারি এডওয়ার্ড কলেজকে পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও আর এম একাডেমিকে সরকারিকরণ করার দাবি থাকবে তার কাছে আমাদের।

প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বিজয় ভূষণ রায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর যে শোষনমুক্ত সমাজ ব্যবস্থার কথা বলে গেছেন, সেই বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে নতুন রাষ্ট্রপতি কাজ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, রাষ্ট্রপতিকে ঘিরে নতুন একটা আশার সঞ্চার হয়েছে। আশা করি তার মাধ্যমে আমরা পাবনার উন্নয়নকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল বলেন, এবিষয়ে সংবাদকর্মীদের জানান, পাবনার রাজনীতি অঙ্গনে তিনি একজন মহাপুরুষ। তিনি রাজনীতিতে কারো কাছে মাথা নত করেন নাই। তিনি কখনো আপোষ করেননি। আমরা আশা করি নতুন রাষ্ট্রপতির ইমেজ দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা পাবনার ৫টি আসনে জয়লাভ করবো।

প্রসঙ্গত, পাবনা শহরের শিবরামপুরের লক্ষীসাগর এলাকায় ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন মো. সাহাবুদ্দিন। তার বাবা শরফুদ্দিন আনসারী ছিলেন ব্যবসায়ী, আর মা খায়রুন নেসা ছিলেন গৃহিণী। চার ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে সবার বড় সাহাবুদ্দিন। ব্যক্তি জীবনে তিনি এক ছেলেন বাবা।

১৯৬৬ সালে পাবনা শহরের রাধানগর মজুমদার একাডেমি থেকে মাধ্যমিক পাস করেন মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএসসি পাস করেন। ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে এমএসসি এবং পাবনার শহিদ আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫  সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন রাষ্ট্রপতি।

রাজনৈতিক জীবনে মো. সাহাবুদ্দিন পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠিত হলে তিনি পাবনা জেলা কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মনোনীত হন। ওই বছর ১৫ আগস্টের পর সামরিক আইনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরবর্তীতে মো. সাহাবুদ্দিন কয়েক বছর সাংবাদিকতা করেছেন দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকায়। মুক্তিযুদ্ধে অংশ  নিয়েছিলেন ভারতে প্রশিক্ষিত এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৮২ সালে বিসিএস পরীক্ষার পরপরই সহকারী জজ হিসেবে শুরু করেন চাকরি জীবন। জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে ২০০৬ সালে অবসর নেন তিনি।

২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি পাবনা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য। সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য তার পরামর্শ ও সহযোগিতায় প্রেসক্লাবের কল্যাণ ফান্ডের কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।



এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।