নিজস্ব প্রতিবেদক, লাখোকন্ঠঃ দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও জনগণকে আত্মনির্ভরশীল করার জন্য সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন সহ বিত্তবান মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা।
তিনি আজ (শনিবার) সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরে কাফরুল থানা উত্তর আয়োজিত আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কারাবন্দী মজলুম আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন ও ভ্যানগাড়ী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর মো. মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মো. তসলিম এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক। উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি হাফেজ আশিকুর রহমান ও জামায়াত নেতা মো. পরশ আব্দুল্লাহ প্রমূখ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, দেশের মানুষ আত্মনির্ভরশীল হলে দেশও হবে আত্মনির্ভরশীল। মূলত, সমৃদ্ধ জাতি মানেই সমৃদ্ধ দেশ। জামায়াত একটি আদর্শবাদী, গণমুখী কল্যাণকামী ও আদর্শিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সে লক্ষ্যেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এই সংসদীয় আসনে প্রার্থী হওয়ায় তিনি এই এলাকার জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। আমরা তার নির্দেশনা অনুযায়িই সাধারণ মানুষের পাশে থাকার সাধ্যমত চেষ্টা করছি। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে জামায়াত কখনো সরকার গঠন করতে পারলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আত্মকর্মসংস্থানের কর্মসূচি গ্রহণ করবে। কিন্তু জামায়াতের হাতে এখন ক্ষমতা নেই। আর রাষ্ট্রের দায়িত্ব সাংগঠনিকভাবে পালন করা সম্ভব নয়। তারপরও আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ নিয়ে সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। জামায়াতের এই কল্যাণকামীতা দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার পূর্ব পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। তিনি দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্দোলনকে গতিশীল ও বেগবান করার জন্য সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, গণবিচ্ছিন্ন ও নৈশ্যভোটের সরকার পতনের এখন কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছে। তারা এখন রীতিমত অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করেছে। নৈশ্যভোটের সরকার এখন খড়কুটার আশ্রয়ে অবৈধ ক্ষমতা রক্ষার জন্য দিকবিদিক ছোটাটোটি শুরু করেছে। কিন্তু এতে তাদের শেষ রক্ষা হবে না। কারণ জনগণই হচ্ছে সরকার পতন ও রক্ষার অদ্বিতীয় অনুসঙ্গ। আর এদেশে ভোট চুরির নির্বাচন আর কখনো হতে দেয়া হবে না। তিনি সরকারকে বাস্তবতা উপলব্ধিপূর্বক টালবাহানা পরিহার করে অবিলম্বে পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান।