Ad: ০১৭১১৯৫২৫২২
২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ || ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আইন শৃংখলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি অর্থনীতি
  6. খেলাধূলা
  7. চাকরি-বাকরি
  8. জাতীয়
  9. জীবনের গল্প
  10. ধর্ম
  11. নির্বাচনী হাওয়া
  12. ফিচার
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. রাজধানী

কমে গেলো ডিমের দাম, হঠাৎ সিন্ডিকেটের মাথা হাত !

মোঃ নাজমুল হোসাইন
নভেম্বর ৭, ২০২৩ ৮:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিনিধি, লাখোকন্ঠঃ ডিমের দাম কমে যাওয়া নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। যে ডিম দীর্ঘদিন ধরে সাড়ে ১২ টাকার নিচে নামছিল না, সেই ডিম রাতারাতি কিভাবে দুই টাকা নেমে গেল। যে ডিমগুলো খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ১১.৫০ টাকায় সরবরাহ করা হচ্ছিল, সেই ডিমই পাচ্ছেন ১০ টাকায়। ডজন প্রতি ডিমের দাম ছিলো ১৬০-১৯০ টাকা সেই ডিম এখন প্রতি ডজনে ১২০-১৪০ টাকা।

ভারত থেকে ডিমের প্রথম চালান আসার পরপরই যশোরের বাজারে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যশোরের ক্রেতাসহ বিভিন্ন স্তরের নাগরিকরা বলছেন, মাত্র ৬২ হাজার ডিম আমদানির পরপরই দাম কমেছে। তাহলে কোটি কোটি ডিম যখন আসবে তখন কী হবে। তারা ডিম আমদানি অব্যাহত রাখার দাবি জানান।

অনেক দিন ধরেই ডিমের দাম বাড়ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি পিস ডিমের দাম সাড়ে ১২ টাকা নির্ধারণ করেছে। তবে ডিমের দাম সাড়ে ১২ টাকা নির্ধারণের পর দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রতিবাদ করেছেন ভোক্তারা। তারা দাম আরও কমানোর দাবি জানিয়েছেন। ওই সময় ভারত থেকে ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভারত থেকে ডিম আনেনি আমদানিকারকরা। এ সময়ে ডিমের দাম কমেনি।

এ অবস্থায় রোববার প্রথমবারের মতো বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ডিম আনা হয়। এই চালানে এসেছে মাত্র ৬২ হাজার। এ খবর শুনে যশোরের বাজারে ডিমের দাম প্রতি পিস এক টাকা কমেছে। যশোরের বিভিন্ন দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমদানির খবরে প্রতি পিস ডিমের দাম ৫০ পয়সা কমেছে এবং বেনাপোলে ডিম এসেছে এমন খবরে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা করে দাম কমেছে।

ক্রেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, যে ডিম মাসের পর মাস সাড়ে বারো টাকার নিচে নামছিল না তা এখন এক টাকা কম বিক্রি হচ্ছে কীভাবে? তাই বলে লোকসান দিয়ে বাজার ধরে রাখার চেষ্টা করবেন? নাকি কোম্পানি অতিরিক্ত মুনাফা করেছে?

যশোর শহরের এক ভদ্রলোক বলেন, “কেউই মাসের পর মাস ডিমের দাম কমাতে পারেনি। যে আমদানি শুরু হয়েছে তা কমে গেছে। এটা কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।”

একজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, “পোল্ট্রি শিল্প এখন পুঁজিপতিদের হাতে। তারা যেভাবে দৌড়ায় সেভাবেই দৌড়ায়। শিল্পপতিদের কারণে যশোরের অসংখ্য ছোট খামার বন্ধ হয়ে গেছে। বাজারে এখন হাতেগোনা দু-তিনটি কোম্পানির ডিম ও ছানা রয়েছে। বড় কোম্পানিগুলোর কৌশল কখনো কখনো দাম কমিয়ে ক্রেতাদের গলা কেটে দেয় এবং অপেক্ষাকৃত ছোট কোম্পানিগুলোকে ধ্বংস করে দেয়।

যশোরের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক তামান্না তাসনিমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকায়। ভারতীয় ডিম আসায় দাম আরও কমেছে। এভাবে ডিম আসতে থাকলে দাম আরও কমবে। সোমবার সারাদিন যশোরে প্রধান আলোচনা ছিল ডিমের দাম কমানো নিয়ে।



এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।