লাখোকন্ঠ অনলাইন ডেস্কঃ দেশে প্রতি বছর তামাকের পেছনে দেশের মানুষ ৩০ হাজার কোটি টাকার চেয়ে বেশী ব্যায় করেছে। তামাক সেবনের কারণে প্রতি বছর বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।
তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। ১৫ লক্ষাধিক মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত নানা জটিল রোগে ভুগছে। প্রতি বছর ৬১ হাজারের অধিক শিশু পরোক্ষ ধূমপানের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। এইসব অকাল মৃত্যু এবং ক্যান্সারের মত জটিল রোগ ভুক্তভোগী পরিবারকে সম্পূর্ণ এলোমেলো করে দেয়।
জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আজ ১৫ অক্টোবর (রবিবার) বেলা ২টায় চট্টগ্রাম চেরাগী পাহাড়স্থ জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ চট্টগ্রাম হলে সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত তথ্য প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ তমাক বিরোধী জোট ও সংশপ্তক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন সংশপ্তকের উপ-পরিচালক অগ্রদূত দাশগুপ্ত, প্রোগ্রাম ফোকাল কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সদস্য কামরুল হুদা, প্রীতম দাশ, ওমর ফারুক, নজরুল ইসলাম ও আমিনুল হক লিটন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলন থেকে কয়েকটি দাবি বাস্তবানের দাবি জানান এরমধ্যে দ্রুততম সময়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী চূড়ান্ত করা। তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে নীতি সুরক্ষায় এফসিটিসি এর অনুচ্ছেদ ৫.৩ অনুসারে ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ গ্রহণ। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ দ্রুত চূড়ান্ত এবং দেশব্যাপী যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করা। টাস্কফোর্স কমিটিসমূহ সক্রিয় করা, কমিটির ত্রৈমাসিক সভা নিয়মিতকরণ, সভার সিদ্ধান্তসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা।
আইন লঙ্ঘনের দায়ে তামাক কোম্পানি/ প্রতিনিধিকে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি জেল প্রদান। আইন লঙ্ঘনকারী তামাক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মনিটরিং কার্যক্রমের সাথে বেসরকারী সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্ত করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে একটি শক্তিশালী তামাক কর নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।