Ad: ০১৭১১৯৫২৫২২
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আইন শৃংখলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি অর্থনীতি
  6. খেলাধূলা
  7. চাকরি-বাকরি
  8. জাতীয়
  9. জীবনের গল্প
  10. ধর্ম
  11. নির্বাচনী হাওয়া
  12. ফিচার
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. রাজধানী
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আস্থার সংকট কাটেনি ইসির

গোলাম রাব্বানী
ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩ ১২:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আসন নিয়ে হাঁটছে আগের পথেই, ছয়টিতে আংশিক পরিবর্তন, দাবি-আপত্তির সুযোগ ২০ দিন

কুমিল্লা-১০ আসন। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের দূরত্ব ৯১ কিলোমিটার। শুরু হয়েছে কুমিল্লা শহর থেকে। আর শেষ প্রান্ত একদিকে ফেনী সীমান্ত, অন্যদিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ সীমান্ত। ওয়ান-ইলেভেন সরকার কুমিল্লা-১১ আসন বিলুপ্ত করে আজব এক সীমানা তৈরি করেছে, যার ভোটারসংখ্যা এখন ৬ লাখ ১৬ হাজার ২৩৩। এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় এলাকা নাঙ্গলকোট। এই উপজেলা আগে থেকে পুরোটাই একটা নির্বাচনী এলাকা ছিল। পরে আসন কমানোর কঠিন শিকার হলেন নাঙ্গলকোটবাসী। এ বিষয়ে আপত্তি জানানোর পরও এত বছরে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন।

এদিকে বাংলাদেশে আরও অনেক এলাকা নিয়ে একই রকম বৈষম্য তৈরি হয়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক অখন্ডতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় ৬২টি আসন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো আসনের জনসংখ্যার তারতম্য ২৫ শতাংশের বেশি।

এ আসনগুলোর পরিবর্তন এসেছিল ২০০৮ সালে। এদিকে গতকাল নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানার খসড়া প্রকাশ করেছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২৫টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এলেও এবার কোনো আসনেই বড় পরিবর্তন না করে আগের পথেই হাঁটছে ইসি। তবে নতুন কয়েকটি প্রশাসনিক সীমানা যুক্ত হওয়ায় খসড়ায় মাত্র ছয়টি আসনে আংশিক পরিবর্তন এসেছে। সীমানার খসড়া নিয়ে ১৯ মার্চ পর্যন্ত দাবি-আপত্তি করার সময় দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, সংসদীয় আসনের সীমানা সংকটের নিরসন দীর্ঘদিনেও হয়নি। বিগত হুদা কমিশনও সীমানা জটিলতা জিইয়ে রেখে বিদায় নিয়েছে। সীমানা জটিলতা নিয়ে অনেক মামলা-অভিযোগ জমা পড়ে ছিল। কিন্তু কিছুই আমলে নেয়নি তারা। অনেক এলাকার আসন পরিবর্তনের দাবি দীর্ঘদিনের। তিন-চারটি উপজেলা নিয়েও রয়েছে একটি আসন। আবার একটি উপজেলা ও স্বল্পসংখ্যক ভোটার নিয়ে রয়েছে অনেক আসন। কিন্তু বর্তমান কমিশনও সংসদীয় আসনের সীমানায় তেমন কোনো পরিবর্তন না করায় ভোটার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার সংকট আরও বাড়বে। অন্যদিকে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের মেয়াদ এক বছর পার হয়েছে। আজ শুরু হচ্ছে মেয়াদের দ্বিতীয় বছর। কুমিল্লা, রংপুর ও গাইবান্ধার ভোট দৃষ্টান্তমূলক হলেও ছয় উপনির্বাচনে সংকটে আস্থা ফেরাতে পারেনি নতুন কমিশন। মেয়াদের প্রথম বছরে বেশ কিছু সফলতা থাকলেও সমালোচনা রয়েছে বর্তমান ইসির। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘আমাদের কর্মকান্ড দিয়ে প্রমাণ দিয়েছি। আস্থা অর্জনে এগিয়ে গেছি। উদ্দেশ্য একটাই- ‘অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচন করা।’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সীমানার খসড়া প্রকাশ : গতকাল ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের আবেদন পাওয়ার পর দাবি, আপত্তি, সুপারিশ ও মতামত নিয়ে শুনানি করার পর চূড়ান্ত সীমানা পুনর্নির্ধারণ করবে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এ বছরের মাঝামাঝি পুনর্নির্ধারিত সীমানা গেজেটে প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ সীমানা দিয়েই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, নতুন সিটি করপোরেশন হওয়ায় ময়মনসিংহ-৪ আসন, নতুন প্রশাসনিক এলাকা হওয়ায় মাদারীপুর-৩, সুনামগঞ্জ-১, সিলেট ১, সিলেট-৩, কক্সবাজার-৩ আসনের পরিবর্তন প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ-৩ আসনে একটি উপজেলার সংশোধিত নাম যুক্ত করা হয়েছে। গতকাল নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, ২০১৮ সালে যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটাই অক্ষুণ রয়েছে।

যে পাঁচ পদ্ধতি অনুসরণ : প্রতি জেলার ২০১৮ সালের মোট আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা; প্রশাসনিক ইউনিট, বিশেষ করে উপজেলা ও সিটি ওয়ার্ড যথাসম্ভব অখন্ড রাখা; ইউনিয়ন, পৌর ওয়ার্ড একাধিক সংসদীয় আসনের বিভাজন না করা; নতুন প্রশাসনিক এলাকা যুক্ত, সম্প্রসারণ বা বিলুপ্ত হলে তা অন্তর্ভুক্ত করা; ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও যোগাযোগব্যবস্থা বিবেচনায় রাখা। জনশুমারি চূড়ান্ত হতে বছর লাগবে, তাই প্রশাসিনক ও ভৌগোলিক অখন্ডতা অগ্রাধিকার। গত বছর ২৭ জুলাই বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ষষ্ঠ জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার বলে জানানো হয়। বিবিএসের ওই প্রতিবেদনের তথ্য যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে ৬ ফেব্রুয়ারি। সেখানে বলা হয়েছে, প্রাথমিক প্রতিবেদন যাচাইয়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ তথ্যে অমিল পাওয়া গেছে। এই ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ হলে চূড়ান্ত জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।

আস্থার সংকট কাটেনি ইসির প্রতি : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের এক বছরেরও কম সময় রয়েছে। সিইসি তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে সমালোচনার মুখে পড়লেও গত এক বছরে বর্তমান নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু কাজের জন্য প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষ করে সিসি ক্যামেরায় গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়ম দেখে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দিয়ে নির্বাচনে নতুন ইতিহাস তৈরি করেন তারা। তবে কুমিল্লা-রংপুর সিটিতে ভালো ভোট হলেও রংপুরে ইভিএম বিড়ম্বনা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া সিইসির বক্তব্য নিয়ে যেমন বিতর্ক হয়েছে, তেমনি ইভিএমে ত্রুটি ধরতে পারলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা দিয়ে একজন নির্বাচন কমিশনার বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।

আবার ইসির বৈঠকে ডিসিদের হট্টগোল নিয়েও বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়েছিল নতুন ইসি। সব কিছু বিবেচনায় ভালো-খারাপ মিলিয়েই নতুন ইসির বছর চলে গেল। তবে দল ও ভোটারের আস্থা ফেরাতে সংকটের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের আগে এ বছরের মাঝামাঝি সিটি করপোরেশনের ভোট আয়োজনের দিকে এখন নজর সবার। বর্তমান কমিশন কতটুকু আস্থা কাটিয়ে সামনে যাতে পারে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন প্রণয়নের পর সার্চ কমিটির মাধ্যমে ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন গঠিত হয়। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা অফিস শুরু করেন, যাদের নেতৃত্বে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালিত হবে।

নতুন ইসি যোগ দেওয়ার পর এই এক বছরে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ করে। তবে তাতে বিএনপি ও সমমনা দল সাড়া দেয়নি। স্থানীয় সরকারের সিটি নির্বাচন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ মিলিয়ে তারা হাজারো নির্বাচন করেছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনও ইভিএমে করেছে ইসি। সংসদীয় আসনের কয়েকটি উপনির্বাচন ইভিএমে ও সিসি ক্যামেরা দিয়ে করা হয়েছে। তবে সব শেষ ছয়টি উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে। ভোটের বুথে ডাকাত থাকার অভিযোগও উঠেছে।

এক বছর পার করার প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, ‘কত সময় পার হলো, প্রথম বছর গেল কিংবা শেষ বছর এলো- এটি আমার কাছে মুখ্য নয়। সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছি; এটা করেই যাব। প্রতিটি কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গেই করব। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যত নির্বাচন করেছি সবগুলোই আমরা সততার সঙ্গে আন্তরিকভাবে করেছি এবং প্রত্যাশিত সফলতা অর্জন করেছি। আমাদের কাজের মূল্যায়ন সময়ই বলবে।’

তিনি বলেন, ‘আলাদা কোনো চ্যালেঞ্জ নয়, প্রতিটি নির্বাচন যেভাবে সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য করেছি, একইভাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও করব ইনশা আল্লাহ। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও ইতোমধ্যে বলেছেন, দেশে-বিদেশে সবার কাছে অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা কঠোর বার্তা দিতে পেরেছি নির্বাচন ব্যবস্থাপনায়। গাইবান্ধা উপনির্বাচন অনিয়মের কারণে বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সিটি নির্বাচনগুলো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। ভোটারদের আস্থা ফিরছে। সামনেও নির্বাচন রয়েছে। সংসদ নির্বাচনেও আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে সুন্দর নির্বাচনের। বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয় আসনের উপনির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হওয়ায় এবং উপনির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম থাকায় ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম হয়েছে। এটি সব নির্বাচনের দৃষ্টান্ত নয়। প্রতিটি নির্বাচনে আমাদের কঠোর মনোভাব, স্বচ্ছতা ও সদিচ্ছার কোনো ঘাটতি ছিল না, আগামীতেও থাকবে না।’

তিনি বলেন, “অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠুভাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে আমরা কর্মপরিকল্পনা ধরে এগিয়ে যাচ্ছি। সব অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করেছি, তা অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যা করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে সমাধানযোগ্য কোনো বিষয় কমিশনের কাছে প্রত্যাশা করাও সমীচীন নয়। সাংবিধানিকভাবে আমাদের দায়িত্ব যতটুকু তার শতভাগ আমরা পালন করে যাব। আমি বরাবরই বলেছি, দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক বিভেদ আর প্রশ্নের মোকাবিলা করতে হয়েছে। সব দলের প্রতি আহ্বান অব্যাহত থাকবে, ভোটে অংশ নিন। কমিশনের একার পক্ষে সব সম্ভব হবে না; সবার সহযোগিতাও দরকার। আমাদের কর্মকান্ড দিয়ে প্রমাণ দিয়েছি, আস্থা অর্জনে এগিয়ে গেছি। উদ্দেশ্য একটাই- ‘অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচন করা।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করার পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের কোনো সময় নষ্ট হয়নি; বরং জনসচেতনতা বেড়েছে। ইভিএমে সবগুলো নির্বাচন করেছি আমরা। সারা দেশেই ইভিএম নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ ও সচেতনতা তৈরি করতে পেরেছি। অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও সবার প্রত্যাশা বিবেচনা করে বড় পরিসরে ইভিএমে ভোট হচ্ছে না। তবে বিদ্যমান সচল ও কার্যক্ষম ইভিএমের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে। এ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে মনে করি। এমন পরিস্থিতিতে সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে এবং কমিশনকে সহায়তা করবে বলেই প্রত্যাশা আমাদের।’



এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।