এম এস শবনম শাহীন: নির্মানের ক্ষেত্রে একজন পরিচালককে সবসময় বলা হয় “ক্যাপ্টেন অব দ্যা শিপ”। বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে কালক্ষেপণে অনেক জনপ্রিয় নির্মাতাই প্রয়াত হয়েছেন, সিনেমার সোনালী যুগের যেসব প্রবীণ পরিচালক বেঁচে আছেন তাদের মধ্যে অনেকেই সিনেমা নির্মান থেকে দূরে আছেন! তাদেরই মধ্যে একজন নব্বই দশকের জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা পরিচালক রায়হান মুজিব। নির্মাতা রায়হান মুজিব নব্বই দশকে- শাবানা,জসিম,আলমগীর,সোহেল চৌধুরী,সুনেত্রা,মান্না,রাজিবকে নিয়ে একের পর উপহার দিয়েছেন সুপার-ডুপার হিট জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তা তার নামকেও পরিচিত করে তোলে সব জায়গায়।
প্রয়াত ড্যাশিং হিরো জসিমের জ্যামস গ্রুপের প্রযোজনা বেশকিছু হিট সিনেমা নির্মান করেছেন রায়হান মুজিব। তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা “হিরো”তেই বেশ সাড়া ফেলেন তিনি, উক্ত ছবিটিতে নায়ক ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা জসিম। এরপর “ভাইজান”, “কাজের বেটি রহিমা”, “অগ্নিপুরুষ”, “আত্ন অহংকার”, “প্রেম প্রীতি”, “রাজা গুন্ডা”, “আখেরি মোকাবিলা”, “হিংসার আগুন”, “তেজী সন্তান” উল্লেখযোগ্য সিনেমা নির্মান করেন। রায়হান মুজিব সর্বশেষ ২০১০ সালে নির্মান করেন “জগত সংসার” ছবিটি।
মূলত আশি-নব্বইয়ের দশকটাই ছিল সিনেমার সোনালী যুগ। তখন এত টেকনোলজি সুযোগ সুবিধা ছিল না। ছিল না ইউটিউব ওটিটি নামক কোন প্লাটফর্ম, তবুও সিনেমা ব্লকবাস্টার হিট হতো। প্রযোজকরা সিনেমায় টাকা লগ্নি করতেও দ্বিধাবোধ করতো না। শত শত আধুনিক প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও এখন বাংলা সিনেমার দুঃসময় যাচ্ছে। প্রযোজকরা টাকা লগ্নি করতেও ভয় পায়, খুব কম সংখ্যক সিনেমা আলোর মুখ দেখে।
এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান মুজিব বলেন- চলচ্চিত্রের এই দুঃসময় কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। আমাদের সময়ে চলচ্চিত্রের যে আগের একটা সোনালী সময় ছিল সেই দিনটা এখন আর নেই। জানিনা পুরোপুরি কবে চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে আসবে। সর্বশেষ নায়ক মান্নার হঠাৎ মৃত্যু চলচ্চিত্র পাড়া শূন্য হয়ে যায়। মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলা সিনেমা, এটা আমাদের জন্য বড় আক্ষেপ এবং কষ্টের বিষয়। আমরা সিনেমার সেই সোনালী যুগের দিনগুলো আজও বড্ড মিস করি।