কলকাতা প্রতিনিধি, লাখোকন্ঠঃ টানা পাঁচ দিন অবস্থান চলার পর অবশেষে আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কেন্দ্রকে ডেডলাইন দিলেন অভিষেক। ১০০ দিনের কাজের টাকা ও আবাস যোজনার টাকা নিয়ে কেন্দ্র কি ভাবছে জানাক দ্রুত। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কথা দিয়েছেন কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সে বিষয়ে জানাবেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আন্দোলন প্রত্যাহার করলেও আন্দোলন থেমে থাকবে না। যদি রাজ্যপাল তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে সদর্থক কথা না বলেন আবার পথে নামছেন।
এবার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। ১ নভেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু হবে। ৩১ অক্টোবর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন তাঁরা রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেছেন। রাজ্যপাল ভালো ব্যবহার করেছেন। বাংলার মানুষের ন্যায্য পাওনা কেন পাবেন না তা নিয়ে তারা জানিয়েছেন। এই দাবি যে অনায্য নয় স্বীকার করেছেন তিনি।
রাজ্যপাল দিল্লিতে গিয়ে কথা বলে জানাবেন বলেছেন। অভিষেক বলেন রাজ্যপাল দ্রুত দিল্লি যাচ্ছেন। এ বিষয়ে দিল্লির কি বক্তব্য তা রাজ্যপাল জানানোর পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বাংলার কুড়ি লক্ষ বেশি মানুষের যে ন্যায্য পাওনা তা কেন্দ্র দেবে কি দেবে না স্পষ্ট করে জানাক। কেন্দ্র না দিলে রাজ্য এইসব মানুষের বকেয়া টাকা মেটাবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান আগে স্পষ্ট হোক।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন দিল্লিতে কি হয়েছে না হয়েছে তা নিয়ে তারা রাজভবনে কথা বলতে যান নি। তাঁদের জন্য চা জলের ব্যবস্থা থাকলেও তারা কিছুতে মুখ দেননি। রাজভবনের লনে বেড়াতে যাননি তাঁরা। সাধারণ মানুষের ন্যায্য পাওনা আদায়ের দাবিতে তারা গিয়েছিলেন। এখন দেখার তাদের এই দাবি দাওয়া নিয়ে রাজ্যপাল কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে কি জানায়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর গলায় স্পষ্ট তো আন্দোলনে ঝাঁজ অব্যাহত। তিনি যে দমবার পাত্র নন তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। আরো বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে তৃণমূল এগোচ্ছে তাও স্পষ্ট করেছেন। এবার সেই আন্দোলনে সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক জানিয়েছেন এবার আর অভিষেকের নেতৃত্বে আন্দোলন নয়, হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।
তাঁর কথায় সাতদিনে দিল্লি বুঝে গিয়েছে আন্দোলন কাকে বলে। যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁদের বের করে দিয়ে ছিলেন সেই মন্ত্রীকে রাজ্যে ছুটে আসতে হয়েছে। রাজ্যপাল দিল্লি কেরালা দার্জিলিং করছিলেন তাকেও রাজভবনে ফিরতে হয়েছে। এবার শুধু অপেক্ষা। অপেক্ষা, রাজ্যপাল কি জানান। আর তারপর বাংলার দাবি নিয়ে সদর্থক ভূমিকা না থাকলে আবারও আন্দোলনের কর্মসূচি। সেই আন্দোলন যে আরও বৃহত্তর হবে তা অভিষেকের গলাতেই স্পষ্ট।