Ad: ০১৭১১৯৫২৫২২
২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আইন শৃংখলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি অর্থনীতি
  6. খেলাধূলা
  7. চাকরি-বাকরি
  8. জাতীয়
  9. জীবনের গল্প
  10. ধর্ম
  11. নির্বাচনী হাওয়া
  12. ফিচার
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. রাজধানী
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সকালে খোশমেজাজ, বিকালে জেহাদ;দিল্লিকে কড়া বার্তা মমতার

বার্তা কক্ষ
মার্চ ৩১, ২০২৩ ৭:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্মৃতি সামন্ত, কলকাতা প্রতিনিধি: কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য ১ লক্ষ কোটির বেশি।১০০ দিনের কাজের বকেয়া ৭ হাজার কোটি টাকা।২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে টাকা দেওয়া বন্ধ আবাস যোজনায়। পাওনা ৮ হাজার কোটি টাকা। ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার পরিবার বঞ্চিত সরকারি বাড়ি থেকে।পাঁচবার ১০০ দিনের কাজে প্রথম হয়েছে রাজ্য। তাও রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দেওয়া হচ্ছে না। ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত প্রায় ১৭ লক্ষ পরিবার। যা যা বকেয়া আছে তা মিটিয়ে দেওয়া হোক। রাজ্যকে তার ন্যায্য প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়া হোক। এই দাবিতে দু’দিনের ধর্না চালালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

৩০ ঘণ্টার বেশি টানা ধর্না চালান মমতা। কেন্দ্রের কাছ থেকে দাবি আদায়ে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যা প্রায় বিরল ঘটনা দেশের রাজনীতিতে। রাজ্যকে টাকা দিয়ে কি দয়া করে কেন্দ্র? প্রশ্ন তোলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্যের হকের টাকাই তো দিতে হয় রাজ্যকে।এটাই তো নিয়ম যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয়। সেই নিয়ম আজ মানা হচ্ছে না। আটকে রাখা হচ্ছে রাজ্যের প্রাপ্য টাকা। মমতার হুঁশিয়ারি, কেন দেওয়া হবে না রাজ্যের প্রাপ্য? কেন রাজ্যের টাকা আটকে রাখা হবে? কেন বারবার টাকা চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে?কেন টাকা পেতে ধর্নায় বসতে হবে ? মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নায় বসা কি কেন্দ্রের জন্য সম্মানের? এবার আমরা দিল্লি যাত্রা করলে তাহলে বুঝবে। আটকে দিলে যেখানে আটকাবে সেখানেই বসবো। সামলাতে পারবে তো? মমতা আরও বলেন, বাংলা স্বার্থে কথা বলেছি বারবার। বারবার চিঠি লিখেছি, দিল্লি গিয়েছি। ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দিয়েছে। গরিব মানুষ কাজ করেছে, তাদের টাকা দেওয়া হয়নি। রাজ্যের বিজেপি নেতারা দিল্লি গিয়ে বলে আসছেন ১০০ দিনের টাকা দেবেন না, আবাস যোজনার টাকা দেবেন না। আর কেন্দ্র সেটাই করছে।

এদিন সকাল থেকে ধরনা মঞ্চে গানে গানে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের ৷ গান গাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ রেড রোডে ধরনার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার ৷বৃহস্পতিবার বেশ খোশমেজাজে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে ৷ বাবুল সুপ্রিয়, ইন্দ্রনীল সেন, সায়নী ঘোষ সকলেই গান গাইলেন ধরনা মঞ্চে । এসবের মাঝে মমতাকে একবার বলতে শোনা গিয়েছে, ” আমরা কোরাস, তবলায় অরূপ ।’ নিজেও কয়েকটি গান গাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা গানে গানে প্রতিবাদ করব ।”সকাল থেকে টানা তিন ঘণ্টা মঞ্চে থাকার পর বেলা বারোটা পাঁচ নাগাদ নীচে নেমে আসেন মমতা। ঘুরে দেখলেন মঞ্চের চারপাশ। কথা বলেন উপস্থিত সাধারণ মানুষের সঙ্গে। সকাল থেকে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা মঞ্চে গান গাইছিলেন ঘণ্টা দেড়েক পেড়িয়ে যাওয়ার পর তাঁদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নিজের ছাত্র জীবনের গল্পও তাঁদের শোনান ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাষণ বলেন, দু’দিনের ধরনা। এর আগে বহুবার ধরনায় বসেছি। সাতবার এমপি হয়েছি। তিনবার বিধানসভায় জিতেছি। অনেকবার মন্ত্রী হয়েছি। আমি খুব সেনসেটিভ। রাস্তা দিয়ে যখন যাতায়াত করি সবদিক নজর রাখি। বাইরে থেকে যারা আসেন বলেন সেই কলকাতাকে আর চেনা যায় না। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। সিপিএমের আমলে তো এমন কিছু গড়ে তোলা হয়নি। বারবার দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। একদিকে অন্নপূর্ণা পূজা চলছে, অন্যদিকে রমজান মাস চলছে। সেই সময় রাজ্যে অশান্তি ও প্ররোচনের সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছে বিজেপি।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলা স্বার্থে কথা বলেছি বারবার। বারবার চিঠি লিখেছি, দিল্লি গিয়েছি। ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দিয়েছে। গরিব মানুষ কাজ করেছে, তাদের টাকা দেওয়া হয়নি। আমাদের কেউ চমকালে তাদের আমরা গর্জায়। নিজেদের দাবি আদায় করে নিয়ে আসতে হয় কিভাবে আমরা জানি। ভদ্রতা মেইনটেইন করছি। এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা দিল্লি গিয়ে বলে আসছেন ১০০ দিনের টাকা দেবেন না, আবাস যোজনার টাকা দেবেন না। এবার আমরা দিল্লি যাত্রা করলে তাহলে বুঝবে। আটকে দিলে যেখানে আটকাবে সেখানেই বসবো। সামলাতে পারবে তো?
ভাড়া করা গুন্ডা দিয়ে অশান্তি ও প্ররোচনা ছড়াচ্ছে।

টাকা নিয়ে কোন অপরাধ করলে আমরা কোন ধর্ম দেখব না । ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কড়া পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন। হাওড়ায় পরিকল্পনা করে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করেছিলেন।
পার্কসার্কাস, চোপড়া এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর প্রচেষ্ট হয়েছে। টাকা দিয়ে প্ররোচনা ছড়ানো হচ্ছে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কোন ধর্ম দেখা। টাকার খেলা বন্ধ করা হবে।
দেশে অপশাসন চলছে। গণতন্ত্র নেই। বিচার ব্যবস্থার ওপর থ্রেট চলছে। মিডিয়াকে থ্রেট করা হচ্ছে। ভোটার লিস্টে নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে। এন আর সি নাম করে নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন রাজ্যের পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হোক। আর তা না দিলে কেন্দ্রীয় সরকারকে সরিয়ে দেওয়ার বার্তা দেন মমতা। বন্দ্যোপাধ্যায়।



এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।