সেনাবাহিনীর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমার দুই ভাই সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মুক্তিযোদ্ধা, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল মুক্তিযোদ্ধা। আমার ছোট ভাই রাসেল, তার সবসময় একটা ইচ্ছে ছিল সে বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে আসবে। কিন্তু সে ইচ্ছাটা আর তার পূরণ হয়নি।’
মঙ্গলবার সকালে কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
এ কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি(পরিবারের)সবাইকে হারিয়েছি। কিন্তু আমি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতার আদর্শেই আমরা পথ চলছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়েই বাংলাদেশকে গড়ে তুলছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতি গতিশীল রাখতে হবে। বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার ভাব যেন আমাদের ওপর না আসে সেজন্য আমাদের সতর্ক হয়ে চলতে হবে। আমাদের সবাইকে মিতব্যয়ী হতে হবে, সঞ্চয়ী হতে হবে।
সেনাবাহিনীর নামকরণ বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মিঠামইনের দুর্গম এলাকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নিরলস পরিশ্রম করেছেন। সেজন্য তার নামে এই সেনানিবাস করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ আর্থসামাজিকভাবে উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। এই বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না। কোনো মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে না।
মঙ্গলবার সকালে হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে মিঠামইনে পৌঁছে সেনানিবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাকে অভিবাদন জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদসহ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। এরপর বৃক্ষরোপণ শেষে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পরে সেনানিবাসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।মিঠামইন সদরের ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে ২৭৫ একর জায়গায় নির্মিত হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস।
এদিকে আজ দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তার পৈতৃক বাড়িতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জোহরের নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা। রাষ্ট্রপতির বাড়িতে দুপুরের খাবার ও বিশ্রামের পর বিকেল ৩টায় মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠে আয়োজিত জনসমাবেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হাওরে প্রধানমন্ত্রীর এই আগমনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। সর্বত্র শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত সরকারের উন্নয়ন চিত্রের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভাকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে হাওর জনপদে।