লাখোকণ্ঠ নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির আন্দোলনে জনসমাগম দেখে আওয়ামী লীগ দিশেহারা হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন- বিএনপির আন্দোলনের নাকি বারোটা বেজেছে। আসলে আমাদের কর্মসূচিতে জনসমাগম দেখে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আবোল-তাবোল বলছেন তারা। তাদের তো জনভিত্তি নেই। তাদের নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে এসব বলছেন। আমি বলব- ওবায়দুল কাদের সাহেব, এখনও সময় আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেন। এই চাওয়া কোনো ষড়যন্ত্র নয়, এটা জনগণের দাবি।’
শনিবার দুপুরে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক আহবায়ক ও এ্যাব’র সাবেক সভাপতি আমার দেশ সম্পাদক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান এবং প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজার প্রতিবাদে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভার আয়োজন করে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)।
সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আসাদুজ্জামান চুন্নুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সাংবাদিক নেতা বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, বিএফইউজের মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন।
রিজভী বলেন, কুষ্টিয়ায় আদালত প্রাঙ্গণে মাহমুদুর রহমানের ওপর ভয়াবহ আক্রমণ করা হয়েছিল। এটা কি একটা রাষ্ট্র? আজ যে অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত মামলা বাতিল করে দেন, সেখানে বাংলাদেশে একটা নিউজর কারণে বিচার করা হয়। এটাতো আওয়ামী লীগের আদালত। সেই আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে মাহমুদুর রহমান ও শফিক রেহমানকে। সাজা দেওয়া হয়েছে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে।
বিএনপি এ নেতা বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে নিয়ে কেউ কোনো কথা বলতে পারেনা। অন্যদিকে সাংবাদিক ও লেখকরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অতীতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমনটা হয়েছিল। সেই অত্যাচারের পদ্ধতি প্রয়োগ করছেন শেখ হাসিনা। আসলে কর্তৃত্ববাদী দেশে এসবই হয়। সেই নির্যাতনের ধারা আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনেও শেখ হাসিনা জারি রেখেছেন। ২০ নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। অনেককে পঙ্গু করা হয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার ধারা ওয়ান ইলেভেনের সময় থেকেই শুরু হয়। এজন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ‘ওয়ান ইলেভেন তাদের আন্দোলনের ফসল। সেসময় মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন- হাওয়া ভবনের কারণে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের নামে ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। পরে সেটার দাঁতভাঙ্গা জবাব কলামের মাধ্যমে দিয়েছিলেন মাহমুদুর রহমান। তিনি লিখেছিলেন- গোটা ৫ বছরে বাজেট হলো ১৩ হাজার কোটি টাকা। সেখানে ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে কিভাবে? আসলে দেশি-বিদেশি চক্রান্তের অংশ ছিল ওয়ান ইলেভেন।’
মাহমুদুর রহমানকে আপোসহীন দেশপ্রেমিক দাবি করে রিজভী বলেন, ‘তিনি কোনো দলের নেতা নন। তার সঙ্গে অন্যায়, অবিচার করা হয়েছে, তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। বহুদিন কারাবরণ করেছেন। এর মধ্যে সম্প্রতি সাত বছর সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি একজন বিচক্ষণ ও সাহসী মানুষ। জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাব দিতে তিনি আপোস করতেননা। তিনি ছিলেন আপোসহীন দেশপ্রেমিক। স্বাধীন চেতা মাহমুদুর রহমান বলতেন এবং লিখতেন। তার সত্য উচ্চারণ আকাশে বাতাসে ভাসে। সেজন্যই তিনি অবৈধ সরকারের টার্গেটের শিকার হয়েছেন। তাকে বহুবার নির্যাতন করা হলেও তিনি থেমে যাননি। চাইলেই চাকুরি করে বিলাসী জীবন যাপন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি দেশের জন্য যে ত্যাগ করেছেন সেটা অতুলনীয় ‘