লাখোকন্ঠ অনলাইন ডেস্ক: টাকা পাচার করে দেশকে ফোকলা করে ফেলেছে আওয়ামী লীগ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, এজন্য ব্রিকসের সদস্য হতে পারেনি বাংলাদেশ। সরকারের ওপর জনগণের আস্থা না থাকার কারণে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সরকারের ব্যর্থতা কর্মকাণ্ডে ধাপ্পাবাজি করে দেশ চালাতে চায় সরকার।
সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মঈন খান বলেন, সরকার জনগণকে ভয় পায়, বেগম জিয়াকে ভয় পায়। সরকার মনে করেছিল তাকে কারারুদ্ধ করলে দেশের মানুষ চুপ হয়ে যাবে। সবকিছু বন্ধ করে দিয়েও দেশের মানুষকে চুপ করে দেওয়া যাবে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বলছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। সরকার কূটনীতিতে ব্যর্থ। চরম বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশকে প্রত্যাখান করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বিএনপি গত এক বছর নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেছে। গণতান্ত্রিক উপায়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চায় বিএনপি। আগামীতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে নৈতিকভাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তারেকের জনপ্রিয়তা দেখে সরকার তার বক্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করেছে। সরকার আদালতের মাধ্যমে বলেছে তারেক রহমানের কথা কোনো রকম সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা যাবে না, সরিয়ে দিতে হবে। আসলে সরকার তারেক রহমানকে ভয় পায়, তার কণ্ঠকেও ভয় পায়।
আব্দুল মঈন খান বলেন, জোর করে কারো কণ্ঠরোধ করা যায় না। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন পরির্বতন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। কণ্ঠরোধ করতে এ আইন করা হয়েছে। জনগণের আন্দোলনের মুখে সরকারের ধাপ্পাবাজি খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গণতন্ত্রের জন্য দেশ স্বাধীন হলেও আজকে ৫০ বছর পরও দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রকে তুলে দিয়ে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ। এই গণতন্ত্র হত্যার জন্য আওয়ামী লীগকে একদিন জনগণের মুখোমুখি হতে হবে।