নিজস্ব প্রতিবেদক: ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক শিরিন বেগমের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হয়েছে। তার মুক্তিযোদ্ধার গেজেট নম্বর ছিল- ১৯৩১।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকার) ৭৪তম অনুষ্ঠিত সভায় তার মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়। পরে গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত এক গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
অধ্যাপক শিরিন বেগম সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্ত্রী। তিনি নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। বর্তমানে শহরের চাষাঢ়ায় নিজের প্রতিষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল প্রসঙ্গে জানতে শিরিন বেগমের ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা বলেন, ২০১৪ সালে অধ্যক্ষ শিরিন বেগমের নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করার একটি গুঞ্জন ওঠে। ওই সময় সোনারগাঁ উপেজলার মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধে শিরিন বেগমের সক্রিয় ভূমিকা থাকার বিষয়ে আপত্তি তোলেন। পরবর্তীতে বিতর্কিত পরিস্থিতিতেই তিনি কীভাবে যেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজের নাম তালিকাভুক্ত করেন।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হাই গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টা খুবই বিব্রতকর। এতে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। যদিও গেজেট বাতিল হওয়ার পর তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন নি, তারপরেও মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে সনদ গ্রহণ করাটা ঠিক হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হওয়ার পর মিটিংয়ের মাধ্যমে এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।