ধর্ম: যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পবিত্র রমজান পালন করছে মুসলিম উম্মাহ। সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহ পাকের নির্দেশে নিয়তের সাথে বৈধ কিছু কাজ পানাহার ও স্ত্রী-সম্ভোগ থেকে বিরত থাকাই হলো রোজা। এই রোজার অন্যতম নিয়ামত হলো ইফতারি। আর ইফতারির আগে রোজাদারের দোয়া কবুল হয়।
এই ঘোষণা দিয়েছেন মহানবী (সা.)। সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোজাদার ব্যক্তি ইফতার করবে। দেরি না করে মাগরিবের নামাজের আগে ইফতার গ্রহণ করার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন প্রিয়নবি (সা.) ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে ইফতারে রয়েছে যেমন অসামান্য ফজিলত। তেমনি ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার পূর্ণ নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন মহানবী (সা.)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া (আল্লাহর কাছে) ব্যর্থ হয় না। সেই তিন ব্যক্তি হলেন- ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া, ন্যায় বিচারক বাদশাহর দোয়া এবং মজলুমের দোয়া। (মুসনাদে আহমদ)
রোজাদারের জন্য পুরো রমজান মাস জুড়ে বিভিন্ন আবদার পাশ করিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ হলো ইফতারের সময়। ইফতারকারী ইফতার সামনে নিয়ে আল্লাহর কাছে কোনো চাইলে তিনি খালি হাতে ফেরত দেবেন না। রোজার শোকরিয়া স্বরূপ এভাবে দোয়া করতে বলেছেন- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সা.) যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন-
ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ
উচ্চারণ : ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’
অর্থ : ‘(ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো ‘ (আবু দাউদ, মিশকাত)
আল্লাহপাক আমাদেরকে সঠিকভাবে রোজা রাখার তাওফিক দান করুক এবং সকল রোজা কবুল করে নিক। আমিন…