বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: আমাদের অনেকেরই হয়তো ধারণা, পানিতে বসবাসকারী প্রাণী হিসেবে মাছের পানি পানের প্রয়োজন হয়না। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল একটি ধারণা। জল-স্থল সকল স্থানে বসবাসকারী প্রাণীরই বেঁচে থাকার জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কুরআনে বলা হয়েছে,
“অবিশ্বাসীরা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?” (সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ৩০)
প্রতিটি প্রাণীরই শরীরের অভ্যন্তরীন যাবতীয় কাজ সঞ্চালনের জন্য পানির প্রয়োজন। শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা, শরীরের মধ্যকার ক্যালরী ও চর্বির বিপাক এবং খাবার হজমের ক্ষেত্রে পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শরীরের মধ্যকার বিভিন্ন অঙ্গ যথা গলনালী, জিহ্বা প্রভৃতিকে আর্দ্র রাখতে পানি সহায়তা করে। এছাড়া শরীরের মধ্যকার পুষ্টি উপাদানসমূহের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন পানির মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়।
এছাড়া শরীরের মধ্যকার বিষাক্ত উপাদান পানির মাধ্যমেই শরীর থেকে দূর হয়। পানির এরূপ চাহিদার কারনে পানিতে বসবাসকারী সকল প্রাণীরও পানি গ্রহনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে মাছের পানি পানের বিষয়টি সম্পূর্ণ রূপে তার পরিবেশের উপর নির্ভর করে। স্বাদু পানির মাছ হলে মাছ তার ফুলকার সাহায্যে প্রয়োজনীয় পানি গ্রহণ করে নেয়। স্বাদু পানির মাছ আক্ষরিকভাবে পানি পান করে না।
অপরদিকে লোনা পানির মাছ তার চারপাশের লোনা পানি ফুলকার সাহায্যে সহজে গ্রহণ করতে না পারার কারনে তাকে তা পান করতে হয়। পানির লবন মাছের কিডনিতে পরিশোধিত হয়ে তার শরীরের অভ্যন্তরীন কাজ সঞ্চালনের জন্য প্রস্তুত হয়।