ইসমাইল হোসেন স্টাফ রিপোর্টার: ওই ছাত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন, শিক্ষক আমার সলিড বললেন মাদরাসা অধ্যক্ষ। বহিরাগত কিছু ছেলেদের চক্রান্তে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে, তাদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই ওই শিক্ষককে তিন মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।সেই সাথে তদন্তের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। মঙ্গলবার প্রতিবেদককে দেয়া বক্তব্যে দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের ভাউলাগঞ্জ দারুচ্ছালাম নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো.আজিবুর রহমান এ কথা বলেন। বরখাস্তের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানান ভুক্তভোগী শিক্ষকের পরিবার ও শিক্ষার্থীরা। তারা পৃথক পৃথকভাবে নিজের স্থান থেকে বরখাস্ত
প্রত্যাহারের দাবী জানান।
এর আগে শনিবার (১৫ এপ্রিল) দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ দেন অধ্যক্ষ বরাবর শিক্ষক ফজলে রাব্বী প্রধানের বিরুদ্ধে। তিনি ওই মাদ্রাসার বিজ্ঞান বিভাগে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার বাড়ি সাকোয়া ভোলাবসুনিয়া এলাকায়।
জানা যায়, গত বুধবার (১২ এপ্রিল) ফজলে রাব্বী প্রধান ইফতারি ও ছেলের জন্মদিনের দাওয়াতে দুইজন ছাত্রী ও নয়জন ছাত্র যায়।আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে রাত হলে সবাইকে রেখে দেন রাত যাপনের জন্য। পরের দিন বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ফিরার পথে করতোয়া নদীর মাড়েয়া ঘাট পার হওয়ার সময় অভিযোগ কারি ওই ছাত্রীর দুর সম্পর্কের আত্মীয় পরিচয়ের আল-আমিন অপেক্ষা করছে। সেখানে ওই শিক্ষককে আল-আমিন ধমক দিয়ে বলে কার অনুমতিতে নিয়ে গেছেন তাদেরকে, আমি সুপারহুজুর, সভাপতি, ইউএনও সবাইকে জানাব। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার কথাবার্তা বলে সে হুমকী দেয় শিক্ষককে।
অভিযোগকারী ছাত্রীর সহপাঠী সুমাইয়া আক্তার জানায়,স্যার আমাদের প্রাইভেট পড়ায়। এলাকার কিছু ছেলে ও মাদ্রাসার দুই-একজন শিক্ষক স্যারের বিপক্ষে। এজন্য হয়তো স্যারকে অভিযুক্ত করার কারন। তাছাড়া স্যারের বাড়ি ও মাদ্রাসায় বান্ধবীর সাথে খারাপ আচরন করেছে এটা একেবারেই মিথ্যা কথা। স্যারের বাসা থেকে আসার সময়ে মাড়েয়া ঘাটে আলামিন স্যার কে হুমকি দেয়।
অভিযোগকারী ওই ছাত্রী জানায়, স্যার আমার কোন ক্ষতি করে নাই কিন্তু মাদরাসার অনেক ক্ষতি করেছে। আমার ও ক্ষতি করতে পারে, তাই আমি অভিযোগ করেছি।স্যার কি কোন খারাপ আচরন করেছে জানতে চাইলে বলেন, করে নাই করতো।
ললল
অভিযুক্ত শিক্ষক ফজলে রাব্বী প্রধান বলেন, আমারল বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। আমি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে কথ বলেই তাদের আমার বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।
মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি আজম উল করিম জানায়,অভিযোগ উঠার পরে ওই ছাত্রীদের ডেকে প্রথমে কথা বলা হলে এ ধরনের কোন খারাপ আচরন করেন নাই বলে জানান কিন্তু পরোক্ষনে এক ছাত্রী শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ করে।