Ad: ০১৭১১৯৫২৫২২
১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আইন শৃংখলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি অর্থনীতি
  6. খেলাধূলা
  7. চাকরি-বাকরি
  8. জাতীয়
  9. জীবনের গল্প
  10. ধর্ম
  11. নির্বাচনী হাওয়া
  12. ফিচার
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. রাজধানী
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পিটার হাসের ‘গা ঢাকা’ ইস্যুতে যা বললেন পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী

নিউজ রুম
এপ্রিল ১০, ২০২৪ ১:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এম এস শবনম শাহীন: বাংলাদেশে গত ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে কার্যত গা ঢাকা দিতে হয়েছিল’ –এমন একটি দাবিকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক তর্কবিতর্ক ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে।

ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী কিছুদিন আগে দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এই দাবি করার পর সোমবার (৮ই এপ্রিল) মার্কিন প্রশাসন এই বক্তব্য সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে। আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সোমবার তাদের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, “এই বক্তব্য সঠিক নয়। ”

বাইডেন প্রশাসন এই বক্তব্যকে সরাসরি খারিজ করে দেওয়ার পরেও পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী অবশ্য নিজের দাবি থেকে মোটেও সরে আসছেন না।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে তিনি দিল্লিতে বিবিসি বাংলাকে বলেন, “প্রথম কথা হল, আমি সেদিন কিন্তু নতুন কোনও কথা বলিনি। বাংলাদেশের নির্বাচনের ঠিক আগে সে দেশের মিডিয়াতেই ভূরি ভূরি খবর বেরিয়েছিল যে হঠাৎ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে আর কোথাও দেখা যাচ্ছে না। যারা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে নিয়মিত নজর রাখেন তারা সবাই এটা জানেন, আমিও জানি। এখন ঘটনা হল, এর ঠিক কিছুদিন আগেই দিল্লিতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে ‘টু প্লাস টু ডায়ালগে’ কী ঘটেছে, সেটাও পাবলিক ডোমেইনে আছে এবং সবাই তা জানেন।

“আপনি বলতে পারেন সেই টু প্লাস টু-র বৈঠকের পরই রাষ্ট্রদূতের এই অন্তর্ধান- আমি শুধু দুয়ে দুয়ে চার করেছি!”, শব্দ নিয়ে খেলা করে হাসতে হাসতেই জবাব দেন পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী। কোনও দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ্য সাংবাদিক সম্মেলনে যে এই প্রশ্নের দ্বিতীয় কোনও উত্তর দেওয়া যে সম্ভব নয়, সেটাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন তিনি।

“আমেরিকা ছাড়ুন, একটা ছোট্ট দেশের সরকারকেও যদি জিজ্ঞেস করা হয় অমুক দেশের কড়া অবস্থানের কারণেই কি আপনাদের রাষ্ট্রদূত গা ঢাকা দিয়েছেন, কেউ কি স্বীকার করবে যে হ্যাঁ, সেটা সঠিক?”, পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী।

২০০৭ থেকে ২০০৯ –এই পুরো তিন বছর তিনি ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সময়কালেই বাংলাদেশ দীর্ঘ দু’বছর সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনে ছিল। তারপর ২০০৯ সালে যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে, তারও প্রথম এক বছর তিনি ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার ছিলেন।

ঢাকায় রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীর বহু মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। বিরোধী দলে থাকাকালীন বিএনপি তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ পর্যন্ত দেখিয়েছিল।

২০০৯ সালের জুন মাসে তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যুতে তার কিছু মন্তব্যের জেরে পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীকে ঢাকা থেকে প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছিল।

এহেন পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে একটি বই লিখেছেন, যার নাম ‘ট্রান্সফর্মেশন : ইমার্জেন্স অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ইভোলিউশন অব ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ টাইস’ (রূপান্তর : বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিবর্তন)।

গত ২৮শে মার্চ দিল্লির থিঙ্কট্যাঙ্ক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে (ওআরএফ) এই বইটির ওপর একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে লেখক পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীসহ অন্য বিশেষজ্ঞরাও যোগ দেন। বিবিসি বাংলার প্রতিবেদকও ওই অনুষ্ঠানে শ্রোতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ওআরএফে এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলোতে ‘চ্যাথাম হাউস’ রুল মেনে চলা হয়– অর্থাৎ আলোচনার বিষয়বস্তু প্রতিবেদনে তথ্য হিসেবে ব্যবহার করা গেলেও কাউকে উদ্ধৃত করে কোনও মন্তব্য রিপোর্ট করা যায় না।

তা সত্ত্বেও সে দিনের অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীর করা একটি মন্তব্য বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে রিপোর্ট করা হয়।

ওই রিপোর্টগুলোতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে একটি প্রশ্নের জবাবে পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন তিনি নিশ্চিত যে ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কার্যত আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন।

তার বক্তব্য ছিল, বাংলাদেশের নিজস্ব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমেরিকার অতিরিক্ত ‘হস্তক্ষেপে’র চেষ্টা ভারত যে পছন্দ করছে না এবং তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে– দিল্লি তাদের এই মনোভাবের কথা গত নভেম্বরে ‘টু প্লাস টু ডায়ালগে’র সময়ই ওয়াশিংটনের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, টু প্লাস টু ডায়ালগ হল ভারত ও আমেরিকা, এই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে একটি স্ট্র্যাটেজিক সংলাপ প্রক্রিয়া, যার শেষ পর্বটি গত বছর নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ওই সংলাপের পরই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াটরা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান আমেরিকার কাছে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। যদিও ভারত-মার্কিন যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গের কোনও উল্লেখ ছিল না।

এর ঠিক দু’মাসের মধ্যেই (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচন।

বস্তুত এই বিষয়টির অবতারণা করেই পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী সে দিন যে কথাগুলো বলেছিলেন



এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।