মোঃ ফজলুল হক,পাবনা: পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুরে মাওলানা সাদেক আলী প্রামাণিক (৬৭) নামের এক মাদরাসা শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা রবিউল ইসলামকে (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় নিহত মাওলানা সাদেক আলী প্রামাণিক গয়েশপুর ইউনিয়নের রথখোলা গ্রামের তোরাব আলী প্রামাণিকের ছেলে ও পাবনার পুষ্পপাড়া কামিল মাদরাসার শিক্ষক। তিনি গয়েশপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমির ছিলেন।
অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম একই গ্রামের তমিজ উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। অভিযুক্ত রবিউল সম্পর্কে নিহত সাদেক আলী প্রামাণিকের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। জানাযায়, গত বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকালে অভিযুক্ত রবিউল ইসলামের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন মাওলানা সাদেক আলী প্রামাণিক। এ সময় পাশের খড়ের পালায় লুকানো রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে রবিউল। তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে দেখে ভাস্তে চাচাকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে করেছেন। এ সময় স্থানীয়রা দ্রুত রক্তাক্ত অবস্থায় সাদেক কে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে গত শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এবিষয়ে নিহতের বড় ছেলে নাজমুস সাকিব বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন দেওয়ার জন্য রাজশাহীতে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ সেদিন শুনতে পাই বাবাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শত চেষ্টা করেও বাবাকে বাঁচাতে পারলাম না। বাবাকে যে হত্যা করেছে তার সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। এছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
এবিষয়ে পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, গত বুধবার বাড়ির সামনে বসে ছিলেন রবিউল। নিহত সাদেক আলী প্রামাণিক তার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন থেকে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রবিউল। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে পরে রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিনই অভিযুক্ত ঐ রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সে মানসিক বিকারগ্রস্ত কি না তদন্ত করে দেখতে হবে। এবং এই ঘটনায় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না তা তদন্তের পর জানা যাবে।
সাদেক আলীর মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।